সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
জামালপুর পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন, আবারও মেয়র প্রার্থী ঘোষণা

জামালপুর পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন, আবারও মেয়র প্রার্থী ঘোষণা

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম :

জামালপুর পৌরসভার তৃতীয় বারের মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি আবারও তিনি মেয়র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যদি আপনারা চান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক, চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নিতে, তাহলে আপনারা আমাকে মেয়র পদে বহাল রাখবেন কি রাখবেন না সেটা আপনাদের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিলাম। তৃতীয় মেয়াদে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ পর্যায়ে মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি বলেন, আমি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনে শতভাগ সফল হয়েছি তা বলবো না, আমি সেটা দাবিও করবো না। তবে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমার সময়ে এডিবির তহবিল থেকে সবচেয়ে বেশী অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি যতটা সম্ভব জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি।

১১ নভেম্বর ২০২০ বুধবার বিকালে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির সার্বিক সহযোগিতায় ‘তৃতীয় নগর অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্প ((UGHP- III- Windows-B) ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে পৌরসভায় সংযোজিত হয়। এই প্রকল্পে ইতোমধ্যে ২টি প্যাকেজে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ ২২ হাজার ২০৪ টাকা ব্যয়ে ২৭টি রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে যার চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
মির্জা মনি আরো বলেন, আপনারা অত্যন্ত খুশি হবেন যে, আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে পৌরসভার নাগরিক সুবিধা দোরগোড়ায় পৌছানোর লক্ষ্যে মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের পৌরসভায় সর্বমোট ৬টি প্রকল্প সংযোজিত হয়েছে।

এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়াধীন প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে মেয়র বলেন, পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতিকরণ প্রকল্প এবং ৩৭ জেলা পানি সরবরাহ প্রকল্প দুইটির অধীনে পৌর এলাকায় সর্বমোট ২০০টি তারা পাম্প, কমিউনিটি টয়লেট ৬টি, পাবলিক টয়লেট ৫টি, পাইপ লাইন স্থাপন কাজ ৬০.৮৮ কি.মি., ২টি গভীর উৎপাদন নলকূপ, ৪টি পরীক্ষামূলক নলকূপ স্থাপন, কভারস্লাবসহ সেকেন্ডারী আরসিসি ড্রেন নির্মাণ ৪ কি.মি. পাম্প হাউজের জন্য ট্রান্সফরমার সরবরাহসহ বগাবাইদ বোর্ড ঘরে ৬৮০ ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজ চলমান আছে। মির্জা মনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৫ বছর মেয়াদী জামালপুর পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুইশত বিরানব্বই কোটি টাকা। ইতোমধ্যে বরাদ্দ থেকে একশত চয়ত্রিশ কোটি টাকায় ৭২টি প্রকল্পের বিপরীতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং বাকী প্রকল্পের কাজ চলমান ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, যদি আপনারা আমাকে পুনরায় মেয়র বানান তাহলে আপনারা অত্যাধুনিক একটি স্মার্ট ডিজিটিল পৌরসভা ভবন দেখতে পাবেন। ভবনের প্লান ডিজাইন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি করোনা মহামারীর সময়েও নিয়মিত পৌরসভায় বসেছেন। কাজ কর্ম স্বাভাবিক রেখেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন। তিনি করোনার ভয়ে ঘরে বসে ছিলেন না। বয়সে প্রবীণ হলেও তরুণ ও যুবকদের মতো চলাফেরা করছেন। করোনা তাঁকে কাবু করতে পারে নি। মির্জা মনি বলেন, আমার দায়িত্ব পৌরসভাবাসীর কাঙ্খিত সেবাটা দেওয়া। সেটা কতটা দিতে পেরেছি আপনারা মূল্যায়ন করবেন। আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন এমন একটা সময় আপনারা দেখতে পাবেন, কোন সমস্যা নিয়ে কেউ মেয়রের দ্বারে ঘুরবে না।
শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের চত্বরকে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে ঢেকে রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মেয়র। তিনি বলেন, আমি কার পোস্টার সরাবো। ওগুলো সরাতে গেলে বিচ্ছিরি কান্ড ঘটবে। আমিও যেহেতু মেয়র প্রার্থী তাই অন্য সকল প্রার্থীরা আমাকে দুষবে। নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা হলে আপনারা একটা ব্যানার-ফেস্টুন টানানো দেখতে পাবেন না। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবগুলো অপসারণ করবো। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম, সাংবাদিক শুভ্র মেহেদী, সাংবাদিক শোয়েব হোসেন ও সাংবাদিক এম সুলতান আলম প্রমূখ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD